দাউদ ইব্রাহীম সোহেল
মোঃ রিয়াজ হোসেন (শান্ত),ভোলা।।
ভোলার লালমোহনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলা শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার ( ০১ এপ্রিল ) লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হাজিগঞ্জ বাজারে বিএনপি'র চরভুতা ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আবি আব্দুল্লাহ খোকন মিয়ার বাসার সামনে পাকা রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে।
আহত ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, লালমোহন চরভুতা ইউনিয়নে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে তারা। এবং আমি ওই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ফেসবুকে ও সরাসরি প্রতিবাদ করি। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে। আমাকে নানানভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। এমন কি আমাকে মেরে ফেলার কথাও বলে তারা।আমার একটাই অপরাধ আমি এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কেন প্রতিবাদ করলাম। গত মঙ্গলবার রাত ৯ ঘটিকার সময়। কালাম সরকার, রুবেল, নিলয়, মিলন, ফাহিমসহ ৮ থেকে ১০ জনে মিলে আমাদেরকে বেধড়কভাবে লাঠি সোটা, রড,বগিদা নিয়ে, মারধর করে আমি সহ আমরা ৬ জনে গুরুতর ভাবে জখম হই।
আহত অবস্থায় কাউকে লালমোহন হাসপাতলে ভর্তি করানো হয়েছে। কাউকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আবার কাউকে ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে।
আহতরা হলেন ডাঃ ছিদ্দিকুর রহমান, (৫৫) পিতা মৃত রুস্তম আলী
চরভুতা ইউনিয়ন ৫ ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। মোঃ জিয়া(৪০), সাকিব ওয়াহিদ (২৮),
মোঃ আবুল কালাম (৫৫), সালাম খানাম (৪৫) স্বামী ফেরদৌস ওয়াহিদ, ও মোঃ রাকিবুল হাসান (৪৫) শিক্ষা অফিসার ভোলা সদর। সহ ৬ জন অতর্কিতভাবে হামলায় শিকার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালাম সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। ৫ আগস্টের পর এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম ও চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। এবং কয়েকবার চরভুতা ইউনিয়নের বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলা করেছেন। তাদের চাঁদাবাজি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মেরে ফেলার ও হুমকি দেয়। কালাম সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ।
এই বিষয়ে লালমোহন উপজেলার বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল পঞ্চায়েত বলেন। চরভুতা ইউনিয়নের সম্পাদক পরিচয় দানকারী ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান ওই চরভুতা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নয়। সে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক নামে পরিচয় দেয়।
প্রতিপক্ষ কালাম সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও। তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিক ভাবে ফোন দিলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই হামলার বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে বলেন । দুই পক্ষের কারো কোন লিখিত অভিযোগ অথবা মামলা হয়নি। মামলা অথবা অভিযোগের কপি হাতে পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এবং আসল অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
