ভোলার ভেলুমিয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা এখন বিজেপি নেতা হওয়ার চেষ্টার।
ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৬
নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোর্শেদ মাল ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শামসুদ্দীন আওয়ামী লীগ নেতা থেকে এখন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) নেতা হয়ে উঠার চেষ্টায় মরিয়া।
সম্প্রতি এমন দুটি ছবি ফেসবুকে ভাসছে যেখানে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রচার,প্রকাশনা সম্পাদক পদে থাকা একটি কমিটি এবং পাশেই আরও একটি ফেস্টুনে ওই একই ব্যক্তিদের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি( বিজেপি)'র ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়ে ছবি দেওয়া । বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়।
স্থানীয়রা জানান, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ২০১৯ সালের আওয়ামী লীগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোর্শেদ মাল ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শামসুদ্দীন এর উঠা বসা ছিল সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে। এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়াতেন তারা আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে। তবে এখন (বিজেপি )নেতা পরিচয়ে এলাকা মাতিয়ে বেড়াচ্ছে এই সব আওয়ামী লীগ নেতারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপির ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে এলাকায় ব্যানার ,ফেস্টুন লাগিয়ে নিজেদের বিজেপির নেতা হওয়ার চেষ্টায় আছেন।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টে তারা হয়ে গেছেন বিজেপির নেতা।
এবিষয়ে ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন মাল বলেন, ২০১৯ সালের কমিটিতে আমিসহ মোঃ মোর্শেদ মাল ও মোঃ শামসুদ্দীন একই কমিটিতে আছি। যদিও ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম মাস্টার এর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলেছেন তারা ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে
শামসুদ্দিন বলেন, কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমাকে ওই কমিটিতে রেখেছেন।
বিজেপির ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ৫ আগস্টের পর প্রথম আমারই ভেলুমিয়ায় বিজেপির সাইনবোর্ড দিয়েছি।
কমিটির অনুমোদন কে দিয়েছে জানতে চাইলে বলেন কমিটির অনুমোদন পায়নি।
কিন্তু নিজেরাই নিজেদের সভাপতি ও সম্পাদক বলে ফেস্টুন জুলিয়েছেন তারা ।
মোর্শেদ মাল বলেন আমাদের বিজেপি থেকে বলেছেন এজন্য ফেস্টুন ঝুলিয়েছি।
ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিজেপির আহ্বায়ক মোঃ হানিফ হাওলাদার বলেন, এরা আমাদের দলের কেউ না। বিজেপির কোনো অঙ্গ সংগঠনেও তাদের কোনো পদ নেই। বিজেপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের এসব লোকজন এখন বিজেপিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এদের বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।
দাউদ ইব্রাহীম সোহেল